খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে হাইকোর্টের বিভক্ত আদেশ
স্টাফ রির্পোটারঃ>>>>>>
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিলের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিট আবেদনে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিলে নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেন।
এর আগে সোমবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটের শুনানি নিয়ে আজকের আদেশের দিন ধার্য করেন।
আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, বেঞ্চের প্রিজাইডিং জজ খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু অপর বিচারপতি দ্বিমত পোষণ করেছেন।
তিনি বলেন, এখন নিয়ম অনুসারে আবেদনগুলো প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি বিষয়গুলো নিষ্পত্তির জন্য অন্য বিচারপতির কাছে পাঠাবেন।
কারাগারে থেকে ফেনী-১, বগুড়া ৬ ও ৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তবে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের আলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ওই আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় বলে শনিবার জানায় নির্বাচন কমিশন। এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রোববার হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক বাতিলের রায় রোববার বহাল রাখেন নির্বাচন কমিশন।
শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চারজন কমিশনার খালেদার মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। তবে কমিশনার মাহবুব তালুকদার খালেদার মননয়োনপত্র বৈধ বলে ঘোষণা দেন। এর আগে এই তিনটি আসনে জমা দেয়া খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
যেখানে দুই বছরের বেশি কারাদণ্ড থাকায় খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়।



