আজ থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা

আজ সোমবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টায় শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে বেলা ১টা পর্যন্ত।
এবারের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। আর ১৪ থেকে ২৩ মে’র মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী। এই হিসাবে এ বছর পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১০.৭৯ শতাংশ।
গত বছর এ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন। এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ৪৪ হাজার ৭৪৪ জন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এসএসসির মতো এ পরীক্ষায়ও প্রথমে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরে রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে। বিগত বছরগুলোতে প্রথমে রচনামূলক এবং পরে বহুনির্বাচনী পরীক্ষা দিতে হতো। এবার পরীক্ষার প্রথম দিন সকালে এইচএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্র, বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র (ডিআইবিএস)। মাদরাসার আলিমে কুরআন মাজিদের পরীক্ষা হবে। কারিগরিতে সকালে বাংলা-২ (১১২১) ও বিকেলে বাংলা-১ (১১১১) বিষয়ের পরীক্ষা হবে। তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা শেষ হবে ৯ জুন। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ জুন শুরু হয়ে শেষ হবে ২০ জুন। এবার ৮ হাজার ৫৩৩টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা ২ হাজার ৪৫২টি কেন্দ্রের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। বিদেশে সাতটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ২৬২ জন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক জিয়াউল হক এ প্রসঙ্গে জিএসনিউজকে বলেন, মাধ্যমিকের তুলনায় উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী যেটা কম সেটাকে ঝরে পড়া বলা ঠিক হবে না।
এবারও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী ও যাদের হাত নেই তারা শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত সময় পাবে ২০ মিনিট। আর অটিস্টিকসহ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত সময় পাবে ৩০ মিনিট। এ ধরনের শিক্ষার্থীরা অভিভাবক, শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
এদিকে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষার্থী ছাড়া সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ। এই আদেশ ডিএমপির অধীন কেন্দ্রগুলোতে ২ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর পর থেকে শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এছাড়া প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে মোবাইল ব্যাংকিং কঠোরভাবে নজরদারি করা হবে। বিশেষ করে কোনো মোবাইল নম্বরে একাধিকবার একই অঙ্কের টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট এজেন্টকে বিষয়টি থানায় জানাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জিএসনিউজ/এমএইচএম/এমএআই